বগুড়ার ধুনট উপজেলার স্কুল শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি, অপহরণের চেষ্টা ও মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় মধ্যরাতে বসতবাড়িতে ঢিল ছুঁড়ে আতঙ্ক-ভয়ভীতি দেখাচ্ছে অভিযুক্তরা। ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলমের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া, মামলা নিতে তালবাহানা ও আপস চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার একমাসেও মামলা না হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ভুক্তভোগী ফৌজিয়া হক বিথী। ভুক্তভোগী ধুনট উপজেলার বেলকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা এবং বেলকুচি এলাকার রাজ্জাকুল করিব বিদ্যুতের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ডিসেম্বর স্কুলমাঠ এলাকায় শিক্ষিকার পথরোধ করে চারজন ব্যক্তি। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা শুরু হয়। পরদিন ৬ ডিসেম্বর জনৈক প্রভাবশালীর নেতৃত্বে ফের শিক্ষিকার পথরোধ করে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানি ও মারপিট করা হয়। প্রতিবাদ করায় সেই ঘটনার সাক্ষী রাসেল মাহমুদকে জোরপূর্বক অপহরণের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। শিক্ষিকার আকুতি ও হৈ চৈ শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। এ ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর শিক্ষিকা ফৌজিয়া হক বিথী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে তালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। একমাস ধরেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ফৌজিয়া হক বিথী অভিযোগ করেন, থানায় এজাহার দেওয়ার একমাসেও মামলা হিসেবে গ্রহণ করেননি ওসি। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই স্বপনকে একাধিকবার কল দিয়েছি, তিনিও তালবাহানা করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকা হবে বলা হলেও বর্তমানে তারা কল রিসিভ করে না।
তিনি বলেন, আসামি পক্ষের লোকজন গভীর রাতে তার বাড়িতে ঢিল ছুঁড়ে, দরজায় লাঠি দিয়ে আঘাত করাসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক ও হয়রানি করছে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তারা পিছু নেয়, থুতু ফেলাসহ গালিগালাজ করে। গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে বাড়িতে ঢিল ছুঁড়েছে। থানার ওসি প্রভাবশালীদের যোগসাজশে আসামিদের পক্ষ নিয়ে আপসের তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষিকার।
এ প্রসঙ্গে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, এটা সামান্য বিষয়। এজাহার হওয়ার মতো না। অভিযোগটি ওই অবস্থাতেই আছে। ওটা তাদের নিজেদের বিষয়। বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া বা দরজায় লাঠির আঘাতের তথ্য পাইনি। দুই পক্ষকে ডেকে আপস মীমাংসার চেষ্টা করছি।