ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
তবে কোন মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
মতিউর রহমান দেশে আছেন, নাকি দেশে নেই– এ নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। গণমাধ্যমেও ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে চুল ন্যাড়া করে দেশ ছেড়েছেন মতিউর। যদিও তাঁর দেশ ছাড়ার বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ অবস্থাতেই বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র ও তাঁর মোবাইলের লাইভ লোকেশন থেকে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন নিশ্চিত হয় দেশেই আছেন মতিউর।
মতিউরকে এনবিআরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুদকের আবেদনে তাাঁর পরিবারের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত কোরবানির জন্য রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত। তবে শুরুতে মতিউর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে পরিচয় দেননি। তখন ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে মতিউর রহমান বলেন, ‘ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি ও আমার পরিবার অনেক বিব্রত।’
তবে ফেনী-২ আসনের তখনকার সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
যে ছাগল নিয়ে এত কাণ্ড আলোচিত ওই ধুসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। এটিকে যশোরের একটি হাট থেকে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনে সাদেক এগ্রো। ফেসবুকের এই ছাগলের সঙ্গে ওই যুবক ছবি দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এক রাজস্ব কর্মকর্তা কীভাবে এত দামে ছাগল কিনলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।