কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় জামায়াত এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টার সময় জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল এবং মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ বিকেল ৩টার দিকে বুড়াপাড়া হাই স্কুল মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। এসময় নাসিরের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মুকুল আলী এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আজ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওসি মমিনুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দর বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এডহক কমিটিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন জামায়াতের আমীরের নাম দেওয়া হয়েছিল। অথচ বিএনপি নেতা নাসির তাকে নাম তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। এরই প্রতিবাদে সমাবেশ করার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন।’
এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, ‘নাসির একসময় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী। তবে ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুই পক্ষের তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হাসান ইমাম বলেন, ‘হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ গুরুতর আহত। প্রত্যেকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।’