বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, অনেক সংস্কারের কথা হচ্ছে। সংস্কার দেশের ও মানুষের কল্যাণের জন্যই করা হয়। তবে দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, এই সংস্কারের জনক কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত জনসভায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সংস্কারের জনক কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারপরে আছেন বিএনপির যিনি কান্ডারি তারেক রহমান। খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ বলে একটা দলিল প্রকাশ করেন।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কার নিশ্চয়ই হবে। তবে সেটা হবে মানুষের প্রতিনিধিদের দ্বারা। আপনারা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, কেবল তাদেরই অধিকার আছে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, আপনাদের ভষিষ্যৎ কী হবে, কীভাবে উন্নয়ন করা যাবে, কীভাবে দেশটাকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে, কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে, কীভাবে মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করা যাবে? সবকিছু তারাই নির্ধারণ করবেন, যারা কিনা আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটা কথা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আওয়ামী লীগ এখন চোখে দেখা যায় না। দৃশ্যমান কোনো শত্রু নেই। তবে অদৃশ্য কিছু শত্রু আছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আমরা যদি সঠিক মানুষকে রাজনীতিতে নির্বাচিত করতে পারি, বাংলাদেশে আর দ্বিতীয় হাসিনা তৈরি হতে দেব না।’
অরুয়াইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম মুমিনুল হক, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।