আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ৫৬ শিক্ষার্থীকে এক ও দুই সেমিস্টার করে বহিষ্কারসহ ১৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়িতদের (শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী) চিহ্নিত ও শাস্তির ধরন নির্ধারণের জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে আবু সাঈদ নিহতের দুই দিন পর ১৮ জুলাই তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিলেন। পরে সরকার পতন ও উপাচার্য পদত্যাগ করায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে এই তথ্য অনুসন্ধান কমিটি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
প্রসঙ্গত, আবু সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে। গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। যে ফটকটি পরে ‘শহীদ আবু সাঈদ গেট’ নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা। আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।