Breaking News

শহীদ মিনারে হামলায় র,ক্তা,ক্ত ফারুক হাসান!

গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র মো. ফারুক হাসানের ওপর হামলা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় শহীদ মিনারে ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে ডাকা জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে বক্তব্যের জেরে এ হামলা হয়।

ফারুক হাসানের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফারুক হাসানকে ১০-১৫ জন তরুণ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তার পোশাক ধরে টানাটানি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় চেয়ার দিয়েও মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলায় ফারুকের কপালের একটি অংশ কেটে রক্ত বের হয়। পরে পাশে থাকা কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালে নেয়।

হামলায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত দাবি করে ফারুক হাসান বলেন, ‘আজকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের একটি সমাবেশ ছিল। সেখানে আমাকে গেস্ট হিসেবে ডাকা হয়। আমি অতিথি হিসেবে সেখানে অংশগ্রহণ করি। সেখানে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেখানে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। আমি বলেছি, জুলাই আন্দোলনে বিপ্লব করেছি একটা বিপ্লবী সরকারের জন্য। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি। আমরা হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে একটা বিপ্লব করেছি। এই বিপ্লবী সরকার না হওয়ার পেছনে তারাই দায়ী, যারা ৫ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের ফর্মূলা হয়েছে।’

গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি। আমরা চেয়েছি একটা বিপ্লবী সরকার। এই বিপ্লবী সরকার না হওয়ার কারণেই সারা বাংলাদেশে আজ বিশৃঙ্খলা সমস্যা ও সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই জায়গায় এই বক্তব্য শতভাগ সঠিক।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আমার বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। আমার অবস্থা খারাপ করে দেয়। আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে গেছে। আমাকে তারা চেনে যে, আমি গণঅধিকার পরিষদের নেতা। আমাদের বক্তব্য একবারেই পরিষ্কার। যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের সন্ত্রাসী ছাড়া অন্য কিছু বলার সুযোগ নেই।’

হামলাকারীদের এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘এদের গ্রেপ্তার করা না হলে গণঅধিকারের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘কপালে ছুরি দিয়ে জখম করা হয়েছে ফারুককে। তাকে সেখানে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। তার ওপর যারা হামলা করেছে তারা জঙ্গি, নব্য গজিয়ে ওঠা বিপ্লবী। এরা ইউনূস সরকারের উপকার করতে আসে নাই, ক্ষতি করতে এসেছে।’

About admin

Check Also

বাংলাদেশের সীমান্তে গ্রেনেড নিক্ষেপের যে ব্যাখ্যা দিল বিএসএফ!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *