পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত ছিল, তা ঘটনার ক’দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়। যেসব অফিসার বেঁচে ফিরেছিলেন, তাদের পরিবারের সদস্য ও ৪৬ ব্রিগেডসহ অন্যান্য ব্রিগেডের যেসব অফিসার পরে রিকভারি অপারেশনে গিয়েছিলেন, তারা এসব বিষয়ে পরবর্তী সময়ে অনেক তথ্য প্রকাশ করেছেন।
সেদিন সেনাকুঞ্জে শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিংয়েই একাধিক সিনিয়র অফিসার সংক্ষুব্ধদের ধমক দিয়ে চুপ থাকতে হুকুম দেন। এ সময় হুমকি দিয়ে বলা হয়, আক্রমণের জন্য ইন্ডিয়ান ফোর্স রেডি, সাবধানে কথা বলো।
পিলখানা ম্যাসাকারের পর ভারত শেখ হাসিনাকে রেসকিউ মিশনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল। পরে ক্ষুব্ধ সেনাদের কাউকে কাউকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়; আবার কাউকে দেওয়া হয় বাধ্যতামূলক অবসর।
কাউকে কাউকে নির্যাতনও করা হয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যবাদ জেঁকে বসে, ৩৬ জুলাইয়ের পর আধিপত্যবাদের এ শৃঙ্খল ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।